আশ্চর্য স্মৃতি, ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তিনবছরের ঋদ্ধিতার

স্পষ্ট বার্তা, আসানসোল ২৯ডিসেম্বরঃ-

জাতীয় পতাকা দেখে ঋদ্ধিতা আধো আধো গলায় 44টি দেশের নাম বলে দিয়ে পারে। এমনকি টেলিফোন থেকে শুরু করে এরোপ্লেনের আবিষ্কারকদের নাম বলে দিতে পারে অনারাসে। একবার শুনেই নাকি অনেক কিছু মনে রাখতে পারে তিন বছরের এই খুদে। ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম উঠেল আসানসোলের মহিশীলার বাসিন্দা ঋদ্ধিতা মাজির৷ তার সেই প্রতিভা শোরগোল ফেলে দিয়েছে জেলায়।

একবার শুনেই নাকি অনেক কিছু মনে রাখতে পারে তিন বছরের এই খুদে ।আসানসোলের মহিশীলার ভগতপাড়া এলাকার বাসিন্দা ঋদ্ধিতা মাজি। বাবা মিলন মাজি পেশায় ফোটোগ্রাফার। মা রত্না মাজি গৃহবধূ। একেবারে মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে উঠছে ঋদ্ধিতা। সাধারণ একটি প্রি নার্সারি স্কুলের ছাত্রী সে। তবে সাধারণ ঘরের মেয়ে হয়েও স্মৃতিশক্তিতে ভর করে অসাধারণ তকমা পেয়েছে এই খুদে।

পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, জ্ঞান হওয়ার পর থেকে মায়ের কাছে শুনে শুনেই শিক্ষা অর্জন ঋদ্ধিতার। মা যা বলেন সবই মনে রেখে দেয় সে। এখন আধো আধো কথা বলে খুদে। কিন্তু সেই আধো আধো গলায় 44টি দেশের জাতীয় পতাকা দেখে ঋদ্ধিতা বলে দেয় কোনটা কোন দেশের পতাকা। শুধু তাই নয়, তাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় টেলিভিশন কে আবিষ্কার করেছে, সে সঙ্গে সঙ্গে আবিষ্কারকের নাম বলে দেয়। টেলিফোন থেকে শুরু করে এরোপ্লেনের আবিষ্কারকদের নাম মেয়ের এই প্রতিভা নিয়ে মা রত্না মাজি বলেন, “ছোট থেকেই ও যে কোনও জিনিস শুনলেই মনে রাখতে পারত। আমরা ছোট থেকেই দেখছি ওর স্মৃতিশক্তি প্রবল। কোনও গৃহশিক্ষক নেই ঋদ্ধিতার। আমার কাছে যেটুকু শুনে শুনে পড়ে।” মেয়েরই স্মৃতিশক্তি দেখে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে আবেদন করেছিলেন বাবা মিলন মাজি। মিলেছে স্বীকৃতির পুরস্কার। মেডেল ও সার্টিফিকেট বাড়িতে এসে পৌঁছেছে কুরিয়ারের মাধ্যমে। তাতে খুশি ঋদ্ধিতা নিজেও। তবে সে জানে না এখনও পর্যন্ত এই রেকর্ড আসলে কী। বাবা মিলন মাজি জানিয়েছেন, আগামিদিনে মেয়ের এই স্মৃতিশক্তি নিয়ে তিনি গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে আবেদন করতে চান। মেয়েকে নিয়ে বাবার অনেক স্বপ্ন। যদিও মা রত্না দেবী জানিয়েছেন, “আমরা কোনওভাবেই তাকে চাপ দিতে রাজি নই। ও নিজের ইচ্ছে মতো মনের আনন্দে যেটুকু পড়াশোনা করবে সেটাই করুক।”

About The Author

You might be interested in

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *