আগামী ২১শে আগষ্ট আসানসোল কর্পোরেশনের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের উপনির্বাচন। এই উপনির্বাচনকে সামনে রেখে বুধবার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী শ্রীদিপ চক্রবর্তীর সমর্থনে প্রচার করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।এদিন আখলপুর মোড় থেকে হুড খোলা গাড়িতে করে প্রচার শুরু করে মণ্ডলপুর, যাদুডাঙা হয়ে বেনালী গ্রাম হয়ে বেনালী কোলিয়ারিতে প্রচার শেষ করেন তিনি।
বেনালী গ্রামে রাসথানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ৯১ জন কাউন্সিলার থাকার সত্বেও বহিরাগত বিধায়ক কে মেয়র পদ দিয়ে হচ্ছে। ৯১টি কাউন্সিলারের মধ্যে কেউ যোগ্য নই তাই মেয়র পদে অন্য কাউকে বসাতে হয়েছে। তাহলে কেন তাদের কাউন্সিলার ভোটে তাদের প্রার্থী করা হয়েছিল। তিনি বলেন এই রাজ্যের তৃনমূল কংগ্রেসের লোকসভা, বিধানসভা থেকে পৌরসভায় যত নেতারা আছে তারা যত রকম দূর্নীতি হতে পারে সব দূর্নীতিতে জড়িত। তিনি বলেন কয়লা চোর,গরু চোর, বালি চোর এখন চাকরী চোর, শিক্ষা চোরও হচ্ছে। তিনি বলেন এখানে কোনো উন্নয়ন নেই, গ্রামে এখনো কাঁচা বাড়ি রয়েছে, পানিয় জলের কোনো সুবিধা নেই। তিনি বলেন আগের কাউন্সিলার এলাকায় দেখায়ই যেত না। এখন যে কাউন্সিলার হয়ে জিতেছিলেন তিনি নাকি কয়েক লক্ষ টাকা নিয়ে রিজাইন করেছেন। তার যদি যোগ্যতা না ছিল তবে তাকে কাউন্সিলার ভোটে দাঁড়ানোর কি দরকার ছিল। তিনি বলেন কলকাতায় বড় বড় করে হুডিং পড়েছে নতুন তৃনমূল আসছে। তিনি বলেন তাহলে কি কুমারটুলি থেকে নতুন নেতা তৈরী করে আনা হচ্ছে। কেন কি কালিঘাটের নেতারা বসে গেছেন? তিনি বলেন কোনো বিজেপি নেতা মন্ত্রীদের নামে দুর্নীতি নেই। যদি কারু নাম জড়িয়েছে তাদেরকে দল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।আমাদের প্রধান মন্ত্রী নির্বাচিত হয়েই বলে দিয়েছেন “না খায়ুঙ্গা না খানে দুঙ্গা”।তাই সুশাসনের জন্য ও এলাকার উন্নয়নের জন্য বিজেপির যুব নেতা শ্রীদিপ চক্রবর্তীকে বিপুল ভোটে জেতান।
একই সময়ে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃনমূল প্রার্থী বিধান উপাধ্যায়ের সমর্থনে এক বিশাল মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল।এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন প্রার্থী বিধান উপাধ্যায়, জামুড়িয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং, এমএমআইসি সুব্রত অধিকারি,ব্লক সভাপতি সাধন রায় সহ আরও অনেকেই।
PREV
সিপিএমের কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন তৃণমূল বিধায়ক