স্কুল যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় বছর ১৫এর এক স্কুল ছাত্রের। দুদিন পরে একটি পরিত্যক্ত খাদান থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃত ছাত্রের নাম রিতেশ মন্ডল, অন্ডালের মদনপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত, পলাশবন চন্ডীতলা এলাকার বাসিন্দা ছিল বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে চলতি মাসের ২২ তারিখ রিতেশ বন্ধুদের সঙ্গে স্কুল যাবার নাম করে বাড়ি থেকে বের হয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত সে বাড়ি না ফেরায়, রিতেশের পরিবারের লোকজনেরা খোঁজাখুঁজি শুরু করে। এরপরও কোন খোঁজ পাওয়া না যাওয়ায় পরের দিন অর্থাৎ ২৩ তারিখ মঙ্গলবার অন্ডাল থানায় নিখোঁজ ডাইরি করে রিতেশের পরিবারের সদস্যরা। এরপর ২৪ তারিখ বেলা বারোটা নাগাদ, অন্ডালের বাবুইশোল কলোনির বিপরীতে, একটি পরিত্যক্ত খাদানে এক দেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। এই ঘটনাটি যেখানে ঘটেছিল, সেই অংশটি পড়ে রাণীগঞ্জ থানার এলাকায়। তাই খবর দেওয়া হয় রানীগঞ্জ থানার পুলিশকে। পরে রানীগঞ্জ থানার পাঞ্জাবি মোড় ফাঁড়ির পুলিশ, ওই স্থানে পৌঁছে, স্থানীয়দের সহায়তায় দেহটি পরিত্যক্ত খাদান উদ্ধার করে। পুলিশ জানতে পারে অন্ডাল থানায় দুদিন আগে একটি নিখোঁজ ডাইরি হয়েছে। সেই সুত্র ধরে খবর দেওয়া হয় অন্ডাল থানায়। মৃতদেহ সনাক্ত করতে, যেখানে নিখোঁজ ডায়েরি করা রিতেশের বাবা শ্রীকান্ত মন্ডলকে ডেকে পাঠানো হয়। রিতেশের বাবা পৌঁছে দেহটি লক্ষ্য করে সনাক্ত করেন দেহটি তার ছেলে রীতেশ মন্ডলের । পরে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয় । ঘটনার খবর পেতেই রিতেশের পরিবার পরিজন কান্নায় ভেঙে পড়ে, মুহূর্তে শোকের ছায়া নেমে আসে গোটা এলাকায়।
রিতেশের এই ঘটনার জন্য তার দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন শ্রীকান্ত বাবু।এই বিষয়ে সব জেনে থাকলেও তারা কেন গোপন করেছিল এই বিষয়টা, তা নিয়ে সন্দেহ বেড়েছে তার ? অভিযুক্ত মনু মালাকার জানাই ২২ তারিখ তারা একসাথেই এখানে স্নান করার জন্য আসে ও পরে একসাথে স্কুলেও যায়। এরপর মনু জানাই, সেখান থেকে সে রাণীগঞ্জের উদ্দেশ্যে চলে যায়, রিতেশ কে যাওয়ার জন্য বললে সে না বলে। শ্রীকান্ত বাবু বলেন, রিতেশ কোনদিন পুকুরেও স্নান করতে যেত না, তাহলে সে কিভাবে এত বড় জলাশয়ে স্নান করতে গেল ? তা নিয়েই রিতেশের দুই বন্ধুর প্রতি সন্দেহ দানা বেঁধেছে । অভিযুক্ত দুই বন্ধুর মধ্যে, পুলিশ মনু মালাকার নামে এক কিশোরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।