রজনীশ উপাধ্যায় নামে এক ব্যাক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতারিত হয়েছে বলে জামুড়িয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।সেই অভিযোগের ভিত্তিতে জামুড়িয়া থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করে।তদন্তের ভার দেওয়া হয় এস.আই আব্দুল সামাদকে।তিনি তদন্তে নেমে এখনো পর্যন্ত প্রায় ২ লক্ষ টাকার কিছু বেশী উদ্ধার করে প্রতারিত ব্যাক্তির হাতে তুলে দেয়।
ঘটনা প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে রজনীশ উপাধ্যায় উত্তর প্রদেশের মুরাদপুর জেলার বদলাপুর থানা এলাকার বাসিন্দা।বর্তমানে জামুড়িয়ার শ্যামসেল কারখানায় কাজ করেন।তিনি হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে এক মহিলার সঙ্গে বন্ধুত্ব করেন।ওই মহিলা নিজেকে আমেরিকার বাসিন্দা বলে পরিচয় দেয়। এবং তিনি ভারতেএ এসে তার সাথে দেখা করতে চাই। তখন রজনীশ ওই মহিলাকে জানাই এখন তিনি ব্যস্ত,সময় দিতে পারবেন না।বেশ কিছুদিন ওই মহিলা তাকে মেসেজ পাঠান তিনি ভারতে এসেছেন।কিন্তু তার কাছে ৬৫ হাজার মার্কিন ডলার আছে।এই পরিমান মার্কিন ডলার ভারতীয় মুদ্রায় রুপান্তরিত না হলে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলে জানায়।তিনি বলেন রজনীশ ছাড়া আর কাউকে এখানে সে চেনেনা।তাই তার কাছ থেকে কিছু আর্থিক সাহায্য চাই ওই মহিলা।মহিলার কথা শুনে বেশ কয়েক দফায় প্রায় ৬ লক্ষ টাকার বেশি দিয়ে দেন রজনীশ বাবু।এর পরেই ওই মহিলার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।রজনীশ বাবু বুঝতে পারেন মহিলা তাকে প্রতারণা করেছে।এর পরেই তিনি জামুড়িয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ তদন্তে নেমে এখনো পর্যন্ত প্রায় ২,০৯,৭৬৫.৬৭ টাকা উদ্ধার করেছে।এবং সেই টাকা ওই ব্যাক্তির হাতে তুলে দিয়েছে।
রজনীশ বাবু সেই অর্থ ফিরে পেয়ে জামুড়িয়া থানার পুলিশ কে ধন্যবাদ জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন তার বাকি টাকাও ফেরত পাবেন।