জামুরিয়া ২ ব্লকের শ্যামলা পঞ্চায়েতের এলাকাবাসিদের অভিযোগ শ্মশান ঘাট দখল করে বালি তোলার কাজ করছে বালিঘাট মালিকের। পাশাপাশি বালির গাড়ির চালকেরা ঘাটে আসা মহিলাদের লুকিয়ে ভিডিও বানাচ্ছেন এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের। এই অভিযোগে শনিবার উত্তেজনা ছড়ালো পাণ্ডবেশ্বর থানার অন্তর্গত জামুরিয়া দু’নম্বর ব্লকের শ্যামলা এলাকায় । স্থানীয়দের দাবি অবিলম্বে শ্মশান ঘাট খালি করুক বালিঘাট মালিকেরা ।
জামুরিয়া ২ ব্লকের শ্যামলা পঞ্চায়েতের শ্মশান কালী মন্দির সংলগ্ন বালিঘাট থেকে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে বালি তোলার কাজ । স্থানীয় সূত্রে খবর ঘাট থেকে অবৈধভাবে বালি তুলে তা পাচার করার অভিযোগে গত বছর এই ঘাট টি বন্ধ করে দিয়েছিল প্রশাসন । সম্প্রতি সেই ঘাট থেকে ফের বালি তোলার কাজ চলছে বলে জানান স্থানীয়রা । ঘাট-টি বৈধ না অবৈধ, তা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে রয়েছে সংশয়। এলাকাবসিদের অভিযোগ ঘাটের সামনে রয়েছে শ্মশান ও একটি কালী মন্দির। শ্যামলা তিন নম্বর কোলিয়ারি সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা এখানে শবদাহ করেন । সম্প্রতি বালির কারবারিরা নিজেদের বিশ্রামের জন্য সেখানে একটি কন্টেনার ও স্থায়ী কাঠামো তৈরি করেছে । স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ এর ফলে শ্মশান ও কালী মন্দির আসা যাওয়ার ক্ষেত্রে তৈরি হয়েছে অসুবিধা । এছাড়াও প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বালিঘাট থেকে বালি তোলার কাজ চলে । যার ফলে নদী ঘাটে মহিলাদের স্নান করার অসুবিধা হয় । মহিলারা নদীতে যখন স্নান করেন সেই সময় বালিঘাটের লোকজনেরা লুকিয়ে তাদের ভিডিও তোলে বলেও অভিযোগ করেন সুনীল বাউরী নামে এক যুবক । শ্মশান ঘাট ও কালী মন্দির আসা-যাওয়ার রাস্তাটি উন্মুক্ত করতে কন্টেনার সরানো ও স্থায়ী কাঠামোটি ভাঙ্গার দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন স্থানীয়রা । শনিবার স্থানীয়দের একাংশ এই দাবিতে পাণ্ডবেশ্বর থানায় অভিযোগ জানায়, যদিও সন্ধ্যা পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি থানায় বলে সূত্রের খবর । বালিঘাট নিয়ে এদিনের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে প্রশাসন বা বালি কারবারিদের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ।
PREV
এলাকায় বেকারদের চাকরি দূষণ নিয়ন্ত্রণ সহ বিভিন্ন দাবিতে সহ সাতটি সংগঠনের পক্ষ থেকে আগামী চার মে কারখানার সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও ডেপুটেশন দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে আজ সাংবাদিক সম্মেলন করে জানালেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ